শিরোনাম: পুলিশ রক্ষক নাকি নীরব দর্শক
শেরপুরের শ্রীবরদীতে রোববার (১০ এপ্রিল) হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর সমালোচনা চলছে। পুলিশের সামনে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শেখবর আলীর জিডির প্রেক্ষিতে মামলার আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানের প্রভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শেখবর হত্যার দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও অধিকাংশ আসামি এখনো গ্রেফতার হয়নি।শ্রীবরদীর হালুয়াহাটি গ্রামের শেখবর আলী জীবনের নিরাপত্তায় পুলিশ অফিসার হয়েছেন। ২৩শে মার্চ পুলিশের সামনে তাকে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
নিহতের স্ত্রী জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে তারা অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসেন। পুলিশের ওপর ভরসা করে প্রথমে তাদের বাধা দেয়নি স্থানীয়রা। তারা ভেবেছিল পুলিশ তাদের বাধা দেবে। তবে পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি। ঘটনার সময় শেখবর মাথায় ও পায়ে আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জবাই করা হয়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে শেখবারকে বাঁচানো যেত বলে তিনি দাবি করেন।ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের বিরুদ্ধে জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে আটক করে পরে প্রধান আসামিসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
আরো পড়ুন:স্ত্রীর প্রেমিককে খুন অতঃপর স্বামী আটক
তিনি বলেন, উপস্থিত পুলিশ সদস্যের ভূমিকায় ওই কর্মকর্তা আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারতেন। তিনি বলেন, তার ভূমিকার জন্য তাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।জমি নিয়ে শেখবর আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী জাকির হোসেন জিকোরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ২৩শে মার্চ পুলিশের সামনেই শেখবর আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে জিকোসহ কয়েকজন।