বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ। জয় দরকার দুই দলেরই। এক দলের প্রয়োজন নিজেদের জায়গা বিশ্বকাপে পাকা করে নিতে, অন্য দলের বিশ্বকাপে যাওয়ার নিবু নিবু আশাটা জাগিয়ে রাখতে।

এমন ম্যাচেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন লিওনেল মেসি। চোটের কারণে পিএসজির হয়ে গত কিছুদিন মাঠে দেখা যায়নি তাঁকে। এই অবস্থায় আর্জেন্টিনা দলে তাঁকে দেখা যাবে কি না, প্রশ্ন ছিলই।

কোচ লিওনেল স্কালোনি আজ উরুগুয়ের বিপক্ষে শুরুতে রাখেননি মেসিকে। বদলি হিসেবে মিনিট ১৫ দেখা গেছে তাঁকে। অবশ্য উরুগুয়ের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ জয় এর আগেই প্রায় নিশ্চিত করে রেখেছেন আনহেল দি মারিয়া। প্রথমার্ধে পাওয়া একমাত্র গোলে উরুগুয়েকে হারাল আর্জেন্টিনা।

আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলের বিপক্ষে ক্লাসিকো। তার আগেই পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করে রাখতে চেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবু মেসিকে শুরুতে নামাননি স্কালোনি। ব্রাজিলের বিপক্ষে।

মেসিকে সতেজ পাওয়ার আশা এতে ভূমিকা রেখেছে। উরুগুয়ের ফর্মও এ সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বলেছে। টানা দুই ম্যাচ হেরে ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল উরুগুয়ে। সেটা আজ টানা তিন হারে রূপ নিল।

মেসির জায়গায় আজ নেমেছিলেন পাওলো দিবালা। ৭ মিনিটেই এর প্রতিদান মিলল। জুভেন্টাস ফরোয়ার্ডের পাস থেকেই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন দি মারিয়া। প্রথমার্ধে এটাই অবশ্য আর্জেন্টিনার একমাত্র উল্লেখযোগ্য আক্রমণ।

প্রতিপক্ষের গোলবার লক্ষ্য করে আর কোনো শট নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। লুইস সুয়ারেজ-এদিনসন কাভানিদের উরুগুয়েই প্রাধান্য বিস্তার করেছে।

দ্বিতীয়ার্ধে একমাত্র গোলের অগ্রগামিতা ধরে রাখতে বলের দখল নিতে হতো আর্জেন্টিনাকে। উপায় না দেখে শেষ ১৫ মিনিট মেসিকে নামিয়েছেন স্কালোনি। মেসি একবার গোলের সুযোগ সৃষ্টিও করেছিলেন। কিন্তু সেটি পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়। খেলা শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের ভুলে একটুর জন্য গোল খেতে বসেছিল আর্জেন্টিনা।

জয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলে দ্বিতীয় স্থানেই রইল আর্জেন্টিনা। একে থাকা ব্রাজিল গতকালই বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করে ফেলেছে। ওদিকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে আছে উরুগুয়ে।

এই অঞ্চল থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে যেতে পারে ৪ দল। প্লে-অফে যেতে পারবে পঞ্চম দল। তাই সুয়ারেজদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে দিন দিন।

ওদিকে আর্জেন্টিনা আগামী ১৬ নভেম্বর ব্রাজিলকে হারাতে পারলে এবং ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার, পাঁচ ও ছয়ে থাকা কলম্বিয়া, চিলি বা উরুগুয়ের যেকোনো এক দলও যদি জয় ছাড়া অন্য কোনো ফল পায়, তাহলেই বিশ্বকাপে জায়গা পেয়ে যাবে আর্জেন্টিনা।