ডায়াবেটিস :

অগ্নাশয় গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে তাকে ডায়াবেটিস বলে।ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এমনকি শিশু-কিশোরদের মধ্যেও টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়েছে। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ইনসুলিন নিঃসরণকারী বিটা কোষ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি ইনসুলিন নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন প্রণালি ও বংশগত কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়।

স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে খারাপ চর্বি বেশি, পারিবারিক ইতিহাস, মানসিক চাপ বা অবসাদগ্রস্ততা, অতিরিক্ত চিনি বা কোমল পানীয় পানে অভ্যস্ততা, অ্যালকোহল ও ধূমপান, কোনো কাজ বা শরীরচর্চা না করা ব্যক্তিদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ৩৫ বছরের পর থেকে কিংবা তারও আগে ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে প্রতিনিয়ত রক্তের গ্লুকোজ পরিমাপ করতে হবে। শিশু-কিশোরদের মধ্যেও যাদের ওজন অনেক বেশি, কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশু অথবা যাদের মায়েদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ছিল, তারাও বছরে অন্তত একবার অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে একাধিকবার রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে হবে।

অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আদর্শ ওজন ধরে রাখা, উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কি না জেনে নেওয়া এবং সঠিক ওজন ধরে রাখার জন্য পরিমিত ও সুষম খাবার গ্রহণ। অতিরিক্ত চিনি, লবণ, চর্বি, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত পরিশোধিত খাবার (সাদা চাল, ময়দা ইত্যাদি), ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার, কোমল পানীয় ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিদের লবণ বেশি থাকা খাবার, গরু-খাসির চর্বি, মাখন, পনির পরিহার করে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের জন্য প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফল খেতে হবে। ধূমপান ও অ্যালকোহল ছাড়তে হবে। দৈনিক শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে। পাশাপাশি ব্যায়াম অথবা হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রাখতে হবে। খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমানো যাবে না। অন্তত দুই ঘণ্টা পর ঘুমাতে যেতে হবে।