ছবি : সংগৃহীত
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি ধর্মীয় বিষয় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক ” ফজরের নামাজের ফজিলত” তাহলে চলুনশুরু করা যাক।
প্রতিটি মুসলিমের সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঈমান। এরপরেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। ঈমানের পর নামাজের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে মধ্যে এশা ও ফজরের জামাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

মুসলমানদের ৫ ওক্ত নামাজ পড়তে হয়। তার মাঝে সর্বোপ্রথম নামাজ হলো ফজর। ফজরের নামাজের মাধ্যমে নামাজের শুরু হয়। আর এই ফজরের নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসুন ফজরের নামাজের গুরুত্ব বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক :
ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী, কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর! (বুখারি হাদিস: ৬৫৭, ৬৪৪, ২৪২০, ৭২২৪; মুসলিম হাদিস ৬৬১)
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সঙ্গে আদায় করে, আল্লাহ তায়ালা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!’ (সহিহ মুসলিম: ১০৯৬
রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে, আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন। (আবু দাউদ: ৪৯৪)
ফজরের সালাত আদায়কারী, রাসূল (সা.) এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন। (সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ
ফজরের সালাত আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে, প্রফুল্ল হয়ে যায়। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
ফজরের নামাজ পড়লে, দুনিয়া আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে – ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ। ’ (তিরিমিযি)
রিজিকে বরকত আসবে – আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাঁধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বন্টন করা হয়।
৯. ফজরের নামাজে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান। ‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো। ’ (মুসলিম শরিফ)

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা আমাদের ফজরের সালাত আদায়ের মাধ্যমে উপরোক্ত সব নিয়ামত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।