হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন । সবাইকে বাংলা নিউজ ডিজিটালের পক্ষ থেকে স্বাগতম। আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনারা জানতে পারবেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেটা জানার উপায় তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
শুরু করার আগে চলুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা যাক।
মোবাইল ফোনের ইতিহাস:
বর্তমান সময় প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত বহুল। আর এ সময়ে মোবাইল অত্যন্ত বহুল ব্যবহৃত জিনিসের মাঝে একটি। আমারা প্রায় প্রতিদিনই মোবাইল ব্যবহার করি। মোবাইল পুরো বিশ্ব কে আমাদের হাতের মুঠোই এনে দিয়েছে।এমন কোন জিনিস নাই যেটা আমরা মোবাইলের মাধ্যমে খুঁজে পাই না।
মার্টিন কুপার সর্বোপ্রথম প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি করেন ১৯৭৩ সালে।সর্বোপ্রথম মোবাইল আবিষ্কার হয় আমেরিকায় ।মার্টিন কুপারের অবদানের জন্য আমরা আজ এত সহজে সব কিছু পাচ্ছি।
মোবাইল ফোনের সাথে আর একটি ব্যাপার অতপ্রতবাবে জড়িয়ে আছে তার নাম ইন্টারনেট। ইন্টারনেট ও মোবাইলের কারণে আজ পুরো বিশ্বের খবরা খবর আমরা পাচ্ছি বাড়িতে বসেই।সর্বোপ্রথম ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়।
১৯৮৯-১৯৯০ সালের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেট এর আবিস্কারক বা জনক বলা হয় ভিনটন জি কার্ফ কে।আমরা সাধারণত ইন্টারনেট পাই সিম এবং ওয়াইম্যাক্স/ওয়াইফাই এর মাধ্যমে।
আসুন এখন সিম কি এ বিষয়ে একটু ধারনা নেওয়া যাক।
Sim এর পূর্ণ নাম Subscriber Identity Module. একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ তার ভোটার আই ডি কার্ডের মাধ্যমে এই sim কার্ড পেতে পারেন। তবে এই সিম কার্ড ব্যবহার ও পাওয়ার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সরকার। আসুন এ বিষয়ে একটু ধারনা নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ সরকার নিয়ম করেছে একজন ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ ১৫ টা সিম কার্ড ব্যবহার/তার আইডি কার্ডে রাখতে পারবেন।এখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে জানবেন আপনার নাম এ কয়টা সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।আসুন এখন সে বিষয়ে আসা যাক।
বর্তমানে আমাদের দেশে ১৮ কোটি মানুষের মাঝে প্রায় ১১ কোটি ৬০ লক্ষ সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। কিন্তু মোবাইল ব্যবহারকারী অনেকেই জানেন না তার নাম এ কয়টা সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে একজন এন আইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ ১৫টি সিম রাখতে পারবে এখন । এখন আপনি হয়তো ভাবছেন কিভাবে জানবেন কয়টা সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।
এখন আমি বলবো বন্ধুরা এই প্রক্রিয়াটি একদম সহজ । অর্থাৎ আপনি বাড়িতে বসেই এ কাজটি করতে পারবেন। নিচে কাজটি করার প্রক্রিয়া বর্ণণা করা হলো:
:প্রক্রিয়া:
১. প্রথমে আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাডে যান ডায়াল করুন *১৬০০১#
২. আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের শেষ ৪ ভিজিট দিন আপনার ফোনে একটি এস এমন এসে আসবে
রবি ইউজার
এখন আপনি যদি রবি সিম ইউজার হন তাহলে ডায়াল করুন *১৬০০*৩# এবং আপনার এন আইডি কার্ডের শেষ ৪ ভিজিট দিন।
এয়ারটেল ইউজার
আপনি যদি এয়ারটেল ইউজার হন তাহলে ডায়াল করুন *১২১*৪৪৪৪#। আপনি যদি অন্যকারো নামের তা থেকে করতে চান তাহলে আনামাস অপশনটি সিলেক্ট করুন।এবং আপনার এন আইডি কার্ডের শেষ ৪ ভিজিট দিয়ে সাবমিট করূন।
বাংলালিংক ইউজার
বাংলালিংক ইউজার হলে *১৬০০*২# এটা ডায়াল করুন। এবং আপনার এন আইডি কার্ডের শেষ ৪ ভিজিট দিন । মনে রাখবেনএখানে অন্য কারো দেখার সুযোগ নাই।
টেলিটক ইউজার
আপনারা ইনফো লিখে ১৬০০ এ মেসেজ পাঠাতে হবে।এবং পরবর্তীতে আপনার আইডি কার্ডের ইনফরমেশন দিতে হবে।
পরবর্তী মেসেজে আপনাকে আপনার রেজিস্ট্রেশন করা নাম্বার গুলো দেখানো হবে।
আপনাদের আইডি কার্ডে যদি আপনি রেজিস্ট্রেশন করেন নাই এমন কোন নাম্বার দেখতে পান তাহলে কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করুন। নাহলে কোনো অপরাধ মুলক কাজ কেউ আপনার সিম কার্ড দিয়ে করলে আপনি ফেঁসে যাবেন।
ধন্যবাদ আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আবারো ধন্যবাদ। খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব অন্য কোনো ভিন্নধর্মী টপিক নিয়ে।
মাত্র ১ মিনিটে তৈরি করুন নিজের স্টাইলেস ফেসবুক একাউন্ট বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন।
১ মিনিটে ফেসবুকে স্টাইলেস নাম বানানো শিখুন।