ছবি: আনারস (সংগৃহীত)
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভাল আছেন ! আজকে আমরা জানব আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে। আনারস হলো আমাদের দেশীয় একটি ফল। আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। সুস্থ-সবল ও রোগমুক্ত থাকতে আনারসের উপকারিতা অপরিসীম। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
আনারস পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এ ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম । যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। এছাড়াও আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের দেহ কাঠামো এবং হাড়ের গঠনেও সহায়তা করে।
হজমে সহায়তা করে:
চিকিৎসকেরা বলেছেন ব্রোলেমিন হজমে সহায়তা করে। আর আনারসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ব্রোলেমিন ।তাহলে বুঝতেই পারছেন হজমে কতটুকু গুরুত্ব রাখতে পারে আনারস ।তাই আপনিও হজম শক্তি ঠিক রাখতে খেতে পারেন আনারস।
ওজন কমাতে সহায়তা করে:
আনারসে থাকে প্রচুর পরিমানে আঁশ। আনারসে কোনো ফ্যাট নাই। তাই আপনি যদি আনারসের জুস / আনারস খেতে পারেন কয়েকদিন তাহলে আনারস হয়ে উঠতে পারে আপনার ওজন কমানোয় সহায়ক।
জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ কমাতে সহায়তা করে:
আনারসে থাকে ভিটামিন সি । আর ভিটিমিন সি ভাইরাস জনিত সকল রোগ যেমন : জ্বর, সর্দি,কাশি কমাতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি আনারস জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্ডিসের প্রকোপ কমাতে সহায়তা করে।
মাড়ির সমস্যা সমাধানে:
আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা দাঁতের সমস্যায় ভোগেন। । তারা এমন সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য আনারস হতে পারে সমস্যার সমাধান। কারণ আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি আমাদের দাঁতের গঠন মজবুত করতে সহায়তা করে। তাই দাঁতের সমস্যা সমাধানে আনারস খেতে পারেন ।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় :
আনারসে থাকে ভিটামিন- এ এবং বিটাক্যারোটিন। গবেষণায় দেখা গেছে আনারসে থাকা ভিটিমিন এ আমাদের চোখের ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন ও চোখের রেটিনার সুস্থ্য রাখার কাজে সহায়তা করে। তাই আনারস খেলে আপনার চোখের রেটিনা ভালো থাকবে এবং আপনার রাত কানা রোগ হবার সম্ভাবনাও কম থাকবে।
হাড়ের সুস্থতায়:
আনারসে ভিটামিন ছাড়াও থাকে মিনারেল, ক্যালসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ।ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের সমস্ত অঙ্গ – প্রতঙ্গের হাড় গঠন করে । এবং ম্যাঙ্গানিজ আমাদের দেহের হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। সুতারাং বুঝতেই পারছেন হাড়ের গঠনে আনারসের উপকারিতা । তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন কিছুটা আনারস খাওয়া।
কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে:
আনারসের রস কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি কৃমির সমস্যায় ভোগেন তাহলে আপনার জন্ম প্রাকৃতিক উপায়ে কৃমি নাশক করার উপায় হলো আনারস। আপনি যদি কয়েকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আনারসের রস খেতে পারেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
রক্ত চলাচলে সহায়তা করে:
আমাদের দেহে প্রতিনিয়ত রক্ত শিরা-উপশিরার মধ্য দিয়ে আমাদের সারা দেহে প্রবাহিত হয়। রক্ত প্রবাহিত হবার কারণে আমরা বেঁচে থাকি। যদি কোন অঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধে তাহলে আমরা অচল হয়ে পড়ি। কিন্তু আপনি মেনে অবাক হবেন যে আনারস এমণ একটি ফল তা আমাদের দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। যার কারণে আমাদের হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে তার কারণে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ও কমে।
এতক্ষণ আপনারা জানলেন আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে এখন আসুন জেনে নিই আনারসে যদি কোন অপকারিতা অর্থাৎ প্বার্শপ্রতিক্রিয়া থাকে সে সম্পর্কে।
আনারসের প্বার্শপ্রতিক্রিয়া:
১.আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। কিন্তু তারপরও আনারসের কিছু প্বার্শপ্রতিক্রিয়া আছে তার মধ্যে একটি হলো এলার্জি, চুলকানি। আনারস অনেকের সহ্য হয় না । যাদের এলার্জি, চুলকানি আছে তারা আনারস না খাওয়াই ভালো।
২. আনারসের থাকে প্রাকৃতিক ভাবে প্রচুর পরিমাণে চিনি । আর আমরা জানি চিনি ,মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পায়।তাই যাদের এলার্জি ও চুলকানি আছে তাদের আনারস থেকে দূরে থাকুন।তবে ডায়াবেটিস রোগীরা সপ্তাহে ২/৩ বার আনারস খেতে পারেন।
ট্র
জেনে নিন সুস্থ্য থাকায় ছোলার উপকারিতা: