আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভাল আছেন। প্রতিবারের মতো বাংলা নিউজ ডিজিটালের পক্ষ থেকে আমরা সম্পূর্ণ নতুন একটি স্বাস্হ্য সচেতনতা মুলক টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি।
আপনারা হয়তো হেড লাইন দেখেই বুঝে গেছেন আমাদের আজকের টপিক এর ব্যাপারে । আমাদের আজকের টপিক কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সহজে মুক্তি পাবেন কিভাবে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক। তার আগে চলুন প্রতিবারের মতো এইবার ও কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। তাহলে চলুন শুরু করি
১.কোষ্ঠকাঠিন্য কি ?
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো আমাদের শরীরের একটি অস্বাভাবিক অবস্থা ।তার কারণে আমরা সহজে মল ত্যাগ করতে পারি না অথবা আমাদের মল ত্যাগ করতে কষ্ট অনুভুত হয়।এই সমস্যাই কোষ্ঠকাঠিন্য বলে পরিচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়?
কোষ্ঠকাঠিন্য বিভিন্ন কারণে হতে পারে ।তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন যদি কোন ব্যক্তি তার প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করে,কম খাবার খায় তার চাহিদার তুলনায়, শাক-সবজি কম খায়, দুঃচিন্তায় থাকে,কায়িক শ্রম না করা,কম ঘুমানো।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে যারা অতিরিক্ত মাত্রায় চা/কফি পান করে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হ ওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের এ রোগ সহজে হতে পারে।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি খাওয়া উচিত নয়?
- যেসব খাবারে চিনি বেশি আছে এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
- এসময় লাল মাংস, চিপস, পটেটো এসব খাবার গুলো খাবেন না।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায়:
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো শরীরের অস্বাভাবিক অবস্থা। রা যেকারো যেকোনো সময় হতে পারে। তবে সাধারণত যারা আঁশযুক্ত খাবার কম খায় তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বেশি।এসমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে অবশ্যই খাবার নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে।
- রাফেজ বা আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া : আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই যে খাবারে আঁশ বা রাফেজ বেশি থাকে এমন খাবার খেতে হবে । কারণ রাফেজ বা আঁশ জাতীয় খাদ্য আমাদের দেহের মল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রাফেজ যুক্ত খাবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও দূর হয়। এখন আপনি হয়তো ভাবছেন রাফেজ যুক্ত খাবার কোথায় পাব আপনার সুবিধার্থে কিছু খাবার নাম বলা হলো: লাউ,কুমড়া,বেগুন, পুঁই শাক, এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার সবজি।
- পানি পান: আমাদের দেহের শতকরা ৭০ ভাগ ই পানি ।আমাদের দেহের প্রত্যেকটি বিপাকিয় কাজে পানি ব্যবহৃত হয়। আমরা যে খাবার খায় তার তার পরিপাকে বিরাট ভুমিকা রাখে পানি। আপনি যদি প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় পানি পান করতে হবে।
- ধুমপান ত্যাগ : আপনি যদি একজন ধুমপায়ী হন এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হন তাহলে আপনি ধুমপান করবেন না কারণ ধুমপান কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
- ফল : আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ফল ভুমিকা রাখতে পারে। তাই আপনি যদি নিয়মিত ফল খান ১০০ গ্রাম প্রতিদিন তাহলে সহজেই মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে করনীয় :
আমরা একটু সচেতন হলেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত থাকতে পারি।
- প্রতিদিন নিয়মিত প্রয়োজনীয় পানি পান করা। পানি পান করলে এসমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাবেন।
- খাদ্যাভাস: আপনাকে অবশ্যই খাবার নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে।প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি রাখুন।এবং ফল খান নিয়মিত।তেল চর্বি যুক্ত খাবার খাবেন পরিমিত।কারণ বেশি তেল চর্বি যুক্ত খাবার সহজে হজম হয় না যা কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ।
- নিয়মিত ঘুম: আপনাকে অবশ্যই ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে ।
- ধুম পানের অভ্যাস ত্যাগ করুন: ধুমপান স্বাস্হের জন্য ক্ষতিকর । এ ঘুমপানের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়তে পারে সুতারাং ধুমপান ত্যাগের অভ্যাস করূন।
- দুঃ চিন্তা মুক্ত জীবন-যাপন করার চেষ্টা করূন। কারণ অত্যাধিক দঃচিন্তা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
তথ্য সূত্র: ডা: মো: সেলিম রেজা।
জেনে নিন কিডনি রোগ কি, কেন হয় এবং প্রতিকার নিচের লিংকে বিস্তারিত:
কিডনি রোগ কি ? কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার