হ্যালো বন্ধুরা বাংলা নিউজ ডিজিটালের পক্ষ থেকে স্বাগতম। প্রতিদিনের মতো আমরা আজকেও একটি স্বাস্হ্য সচেতনতা মূলক টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। তো কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল ই আছেন। তো বন্বুরা আমাদের আজকের টপিক কিনডি রোগ কি ?‌‌‌‌‌‌‌কেন হয় এবং এর প্রতিকার কি?তো বন্ধুরা চলুন কথা না‌ বাড়িয়ে শুরূ করা যাক আমাদের আজকের টপিক কিডনি রোগ নিয়ে । তার আগে প্রতিদিনের মতো আজকেও কিছু বিষয় নিয়ে জেনে নেওয়া যাক।

১. কিডনি কি :

কিডনি হলো ইংরেজি শব্দ। কিডনির বাংলা রুপ হলো বৃক্ক। কিডনি হলো মানব দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ।রা মানবদেহের থাকেন যন্ত্র হিসেবে কাজ করে।

২. কিডনি কোথায় থাকে:

প্রতিটি মানবদেহের পেটের ভিতর পিঠের দিকে মেরূদন্ডের দিকে দুই পাশে ২ টা কিডনি থাকে। কিডনি দেখতে শিম ভীতির মতো। প্রতিটা কিডনি আকারে সাধারণত ১০ সে:মি লম্বা, ৫ সেমি চওড়া এবং আরও ৪ সেমি মোটা হয়। পুরুষের প্রতিটা কিডনির ওজন ১৫০-১৭০ গ্রাম এবং মহিলার কিডনির ওজন ১৩০-১৫০ গ্রাম হয়।

৩. কিডনির কাজ কি:

আগেই বলেছি যে কিডনি হলো মানবদেহের ছাকন যন্ত্র সুতারাং বুঝতেই পারছেন মানবদেহের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন ই এর প্রধান কাজ। আমরা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই ।এবং এই খাবার আমাদের মানবদেহের ভেতর পরিপাক হয় আর পরিপাকের সময় আমাদের দেহে ইউরিয়া,ইউরাসিল,ক্রিয়েটিনিন এরকম আরও অনেক ক্ষতিকর পদার্থের উৎপত্তি হয় আমাদের দেহে।

এ পদার্থ গুলো আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমাদের দেহ থেকে এই ক্ষতি কর পদার্থ বের করে দেওয়াই কিডনির প্রধান কাজ। কিডনি / বৃক্ক মানবদেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। এছাড়াও কিডনি ক্ষতিকর পদার্থ ও বের করে দেয় মানবদেহ থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে।

৪. কিডনি রোগের লক্ষণ কি :

কিডনি রোগ নিরব ঘাতকের মতো কাজ করে । কিডনিতে যতক্ষণ পর্যন্ত মারাত্মক সমস্যাই না পড়ে ততোক্ষণ পর্যন্ত কিডনির রোগ বোঝাই যাই না । তবে কিছু লক্ষণের মাধ্যমে এই রোগ বোঝা যাই ।

  • প্রসাবে পরিবর্তন: কিডনি রোগ হলে আপনার প্রস্রাবে পরিবর্তন আসবে।যেমন : প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া । কিডনির রোগ হলে আপনার প্রসাব বেড়ে যেতে পারে এবং প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হতে পারে।

  • প্রস্রাবের সাথে রক্ত: অনেক সময় আপনার প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হতে পারে । ব্যাপারটি মোটেই তাচ্ছিল্যের ব্যপার নয় । আপনার যদি প্রস্রাবের সময় রক্ত বের হয় তাহলে আপনার কিডনি রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

  • শরীর ফুলে যাওয়া: কিডনি আমাদের দেহ হতে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। কিন্তু কিডনির সমস্যা হলে এই সব পদার্থ বের হতে পারে না তাই এই সব পদার্থ আমাদের শরীরের ভিতর থেকে যাই এবং আমাদের দেহ ক্ষতিকর পদার্থ থাকার কারণে আমাদের শরীর ফুলে যাই।

  • প্রস্রাবের সময় ব্যথা: কিডনি রোগ হলে প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব হয়।

  • বমি বমি ভাব হওয়া: কিডনির রোগ হলে বমি বমি ভাব হয় কোন কারণ ছাড়াই।

  • ঠান্ডা অনুভব হয়

৫. কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয় :

  • শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখুন : শরীর কে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে কায়িক পরিশ্রম এর বিকল্প নেই। সুতারাং কায়িকশ্রম করূন অলস জীবন-যাপন না করে। নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটাচলা করুন।

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায় লোক ই কিডনির সম‌স্যাই ভোগেন।সুতারাং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: অনেকেই জানে যে উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়তো হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির রোগ ও হতে পারে ‌‌‌‌

  • খাবার সচেতনতা: কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের অবশ্যই খাবার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। অত্যাধিক তেল,চর্বি বা লবণ মুক্ত খাবার না খাওয়া। কারণ এসব খাবার কিডনির সমস্যার জন্ম দায়ী।

  • পরিমিত পানি পান করুন: কিডনির সমস্যার থেকে মুক্ত থাকার জন্য প্রচুর পানি করূন। তবে মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করবেন না।

  • এন্টিবায়োটিক না খাওয়া: কিডনির রোগে ব্যথা কমানোর জন্য কখনোই এন্টি বায়োটিক নিবেন‌না এতে আপনার আরও ক্ষতি হতে পারে।

  • সর্বো পরি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

(তথ্য: সংগৃহীত এবং ডাঃ জিহাদুল ইসলাম)

আরও জানুন কিভাবে ব্রণ সমস্যার থেকে মুক্তি পাবেন‌ নিচের লিংকে বিস্তারিত:

ব্রণ সমস্যার সমাধান।।

var wpcf7={"api":{"root":"https:\/\/banglanewsdigital.com\/wp-json\/","namespace":"contact-form-7\/v1"},"cached":"1"}