বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের ক্রিকেটার লিটন দাস। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন লিটন দাস। ২০১৫ সালে টেস্ট অভিষেকের পর এরআগে দুইবার নব্বইয়ের ঘরেআউট হয়েছিলেন তিনি।এ বছরটা টেস্টে ভালোই কাটছে লিটনের। জানুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ থেকেই বেশ ধারাবাহিক তিনি। ৯ ইনিংসে চারটি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস তাঁর। সেঞ্চুরিটাই কেবল পাচ্ছিলেন না। গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে শতকের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৯৫ রানে থামে তাঁর ইনিংসটি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে, বিশেষ করে টি–টোয়েন্টিতে খুব ভালো করতে পারছিলেন না। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র একটি ইনিংসে বলার মতো সংগ্রহ তাঁর। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। তবে টেস্টে নিজের ফর্মটা ধরে রাখলেন।
মাঠে নেমেছিলেন দলের বিপর্যয়কর অবস্থাতেই। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েছেন ২০৪ রানের জুটি। নিজের শতরানটি অবশ্য এসেছে বেশ ঝুঁকি নিয়েই। নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছেই কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই কোনো ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ারে আগে যদি নড়বড়ে নব্বইয়ে বারবার আউট হওয়ার রেকর্ড থাকে, তাহলে তাঁর ব্যাটিংয়ের স্নায়ুচাপ বড় প্রভাব রাখতে বাধ্যই। নোমান আলীয় অফ স্টাম্পের বাইরে ফুলার লেংথের বলটি মিড অফে ঠেলে দিয়েই তিনি পড়িমড়ি করে ছুটলেন রানের জন্য। শাহিন শাহ আফ্রিদি বল ধরেই ছুড়ে মেরেছিলেন নন–স্ট্রাইকিং প্রান্তে। একটু এদিক–ওদিক হলেই রান আউট হতে পারতেন তিনি।
কিন্তু এ যাত্রায় ভাগ্য তাঁর সঙ্গেই ছিল।সেঞ্চুরি করে একটা রেকর্ডেরও ভাগীদার হয়েছেন লিটন। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলে তিনি সেঞ্চুরি পেলেন। ২৬তম টেস্টে তিন অঙ্কে পৌঁছে তিনি পাশে বসেছেন খালেদ মাসুদের।দিন শেষে লিটনের সংগ্রহ ১১৩। ২২৫ বলে, ১১টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে। পঞ্চম উইকেটে তাঁর সঙ্গী মুশফিকুর রহিম অপরাজিত আছেন ১৯০ বলে ৮২ রান করে। চট্টগ্রামে টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৫৩।