হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভালো আছি। আমি আকাশ। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এমন একটি কাহিনী যেটা হয়তো শুনলে আপনিও অবাক হবেন। হরতাল তাহলে চলুন শুরূ করা যাক। সালটা ছিল ২০১৭ সালের শেষের দিকে। আমি টিউশন করে বাসায় ফিরছি। ও হ্যা তার আগে বলে রাখি আমি ভার্সিটিতে পড়ি। আমার ছাত্র রিফাত। ও ক্লাস ৮ এ পড়ে। প্রতিদিনের মতো আজও আমি এসেছি ওকে বাসায় পড়াতে। পড়ানোর সময় হঠাৎ কোনো কারণ বসত ওর বাবা-মা দুজনেই বাড়ির বাইরে তাই। আমাকে বলে আকাশ, আমরা না আশা পর্যন্ত তুমি রিফাত কে তোমার কাছে রাখবে। আমি : ঠিক আছে আন্টি। বলে তারা চলে গেলেন।
এমন সময় রিফাত আমাকে বলে উঠল স্যার আপনি কি ভূতে ভয় পান ? আমি আমতা আমতা করে বললাম আরে না কিযে বল তুমি। (আসলে আমি কিন্তু ছোট বেলা থেকে একটু ভীতু। ভয় পায় বললে ছেলেটা কি না কি মনে করবে এই ভেবে কোনোভাবে এড়িয়ে চলে গেলাম বিষয়টা।তখন রিফাত আমাকে বললো জানেন স্যার, আমাদের উত্তর দিকে যে বাড়িটা আছে না ওখানে শুনেছি ভু ্্ ত আছে। আমি বললাম আরে না এই সব কিছু হয় না। বলে পড়িয়ে চলে আসার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। তখন রাত ১১টা বাজে। আজ বেশ রাত হয়ে গেছে বলে মনে হয়। যাই মেসে ফিরতে হবে ।
মেসটা রিফাতের বাসা থেকে ২৫ মিনিটের পথ । আমি একা হেঁটে চলেছি নির্জন পথ ধরে। আর বলা বাহুল্য রিফাতের বলা তাদের উত্তর দিকের বাড়িটা আমার যাওয়ার পথেই পড়ে। রিফাতের বলা কথা হঠাৎ আমার মনে পড়তেই যেন শরীর টা কেমন করে উঠল। ভাবলাম আসলেই ভুত আছে কিনা। হঠাৎ আমার কানে এলো নূপুরের শব্দ। আমার উদ্বেগ আরো বেড়ে গেলো। হঠাৎ একটি মেয়ের আওয়াজ আসলো কিরে ” আকাশ ” ভুলে গেলি আমাকে? আমি বললাম কে কে ? মেয়েটি সামনে আসতেই আমি চমকে উঠলাম, ওমা এ কে এ তো মিলি। কিন্তু তু তু তুমি ? তুমি বেঁচে আছো? তোমাকে না রা রা রাজিব রা মেরে ফেলে? (যথেষ্ঠ প্রামাণ না থাকলেও এটা আমার ধারণা ছিল,যদিও আমি জানতাম না মিলি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে, তবে সবাই বলতো মারা গেছে ,তবে লাশ পাওয়া যাই নি)
হ্যা তাহলে আসুন চলে যাই ১ বছর আগের কথা এ।মিলি আমাদের ব্যাচের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। দেখতে যেন অপরূপ সুন্দর কোন এক পরী এসেছে পৃথিবীতে। কিন্তু তার উপর নজর পড়ে রাজিব নামের এক বখাটে ছেলের ।রাজিবের কাজ ই ছিল মেয়েদের উত্তক্ত করা। মিলির উপর ওর নজর পড়ে ।মিলিকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে মিলি তা প্রত্যাক্ষাণ করে এবং রাজিবকে অপমান করে ।এর কিছুদিন পর মিলি যখন রাত্রে ক্লাস করে মেসে যাচ্ছিল তখন মিলির সাথে রাজিবের দেখা হয়। রাজিব অপমানের প্রতিশোধ নিতে মিলি তুলে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে । লাশটা পুঁতে দেয় রিফাত দের উত্তর দিকের বাড়ির পিছনে। (একথা বলে মিলি অদৃশ্য হয়ে যায়)।
তখন আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল মিলির কথা ভেবে কারণ ওকে আমি ভালোবাসতাম। কিন্তু বলার সুযোগ হয়ে ওঠেনি আর হয়তো হবে না এ কথা ভেবে। কিন্তু আজ ৩ মাস পর আমার একটু শান্তি লাগছে কারণ রাজিবকে মৃত্যু’দন্ড দেওয়া হয়েছে। (কেমন লাগল অবশ্যই জানাবেন কমেন্টে)