মানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। ছবি : সংগৃহীত
দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে দ্রুত খুলে দেওয়ার আদেশ জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে এ মন্তব্য করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
তিনি আরও বলেন গতবছর মার্চ মাস থেকে আমাদের সকল প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয় মহামারী আকারে করোনা ভাইরাস আসার কারণে। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা কয়েকবার স্কুল – কলেজ খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও আমরা তা সম্পন্ন করে তুলতে পারি নাই।
তিনি আরও জানান, তবে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম গুলো ভার্চুয়াল ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং পাশাপাশি আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য আ্যাসাইনমেন্টের ব্যাবস্হা করেছি বাড়িতে বসে লিখে জমা দেওয়ার জন্য।
২ ই সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সকলের সামনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। আমাদের সন্তানেরা দীর্ঘ দিন বাড়িতে রয়েছে স্কুলে যেতে পারে নাই। ইতোমধ্যে আমরা শিক্ষকদের টিকার ব্যবস্হা সম্পন্ন করেছি। এবং সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার ব্যবস্হা গ্রহণ করেছি ।
আমরা খুব শীঘ্রই সকল জনগণের জন্য স্বাভাবিক করার ব্যবস্হা করব । আমরা ক্রমে ক্রমে কাজটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সকল শিক্ষককে টিকা দিয়েছি। পাশাপাশি বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকলের টিকার ব্যবস্হা করছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ যথাযথ ব্যবস্হা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা যেভাবে হোক বাইরে থেকে ভ্যাকসিন এনে আমাদের জনগণকে বিনামূল্যে দিয়ে তাদের সুরক্ষা প্রদানের চেষ্টা করছি। এমনটা হয়তো অনেক দেশ ই করতে পারেনি এখনো।
৩০ আগষ্ট জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আমরা এ পর্যন্ত ১ কোটি ৮২ হাজার ৮৯ হাজার
১৮ জনকে করোনার ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ দিয়েছি। এবং আমরা এ পর্যন্ত ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনলোককে ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ দিয়েছি। এবং তিনি আরও জানান আমাদের ভ্যাকসিন প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত আছে এবং এবং বাইরে থেকে ভ্যাকসিন আনার জন্য যথার্থ ব্যবস্হা নিয়েছি।
নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান ভ্যাকসিনের মজুদ এবং আমদানি সম্পর্কে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন আমরা দ্রুত স্কুল -কলেজ খুলে দিব এবং আবার আগের নিয়মে স্কুল কলেজের কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।আমরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে তারপর ধাপে ধাপে স্কুল – কলেজ খুলে দেওয়া হবে।
স্কুল – কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিচের ব্যবস্থা গুলো যথাযথভাবে নিতে হবে:
১ . মাস্ক ব্যবহার : কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সবাই মাস্ক পরে কলেজে ঢুকছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাস্ক ব্যতিত কোন শিক্ষার্থী যেন কলেজে না ঢুকতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে সবার মাসিকের ব্যবস্থা করে দিবেন।
২. হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার: প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কলেজে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত স্যানিটাইজ করে কলেজে প্রবেশ করাতে হবে।
৩. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে কলেজে শিক্ষার্থী প্রবেশের পূর্বে শিক্ষার্থী শরীরের তাপমাত্রা মেপে নিবেন। যদি তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয় তাহলে শিক্ষার্থীকে করোনা টেস্ট করানোর উদ্যোগ নিতে হবে ।
৪. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে: কলেজ খোলার পরে ক্লাস নেবার সময় সকল শিক্ষার্থী যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে সেদিকে নজর দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করা যাবে না।
৫. ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা : যেসকল শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ হয়েছে তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করতে হবে। এবিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বিষয়টি নিশ্চিত করেতে হবে।
৬. যথাপোযোগী পরিবেশ প্রনয়ণ: ক্লাস শুরু করার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ সকল ক্লাস-রুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্লাস রুম গুলোকে যথাপোযোগী করার লক্ষ্যে শ্রেণী কক্ষটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখবেন।
সর্বোপরি যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্কুল – কলেজ খুলে দিতে হবে।
তথ্য সূত্র : সংগৃহীত
অবশেষে খুলছে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
অবশেষে খুলছে এবার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
Nice post
nice
Nice post