রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দস বলেন।বিশেষ অঙ্গ কেটে দেওয়া রাজশাহী নগরীর মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সেই উপপরিদর্শককে (এসআই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা এখনও ভালো না। তাই তাকে দ্রুত ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।আরএমপি মুখপাত্র বলেন, তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রামেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বিমান বা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে তাকে রামেক হাসপাতালের অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।আহত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা আমাদের পুলিশ সদস্যের জীবন বাঁচানোর কথা ভাবছি। অপরাধী পুলিশি হেফাজতে আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’তবে কী কারণে ও কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কাটা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে আপত্তি জানান।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহমেদ উল্লাহ জানান, ধারালো কিছু দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিশেষ অঙ্গ কাটা হয়েছে। এ কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।তিনি বলেন, ‘সাধারণত মানুষের শরীরের কোনো অঙ্গ ছয় ঘণ্টার মধ্যে শরীরের ওই কাটা অংশে জুড়ে দিলে আবার সেটি জোড়া লেগে যায়। কিন্তু এর বেশি সময় অতিক্রম করলে তা আর সম্ভব নয়।’সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বামীর ওপর পরকীয়া সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী এ কাণ্ড ঘটান। ঘটনার সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও জানায় সূত্রটি।এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাগরপাড়া ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি তার থানার ওসিকে বিষয়টি জানান। পরে ওসি তাকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন এবং তার স্ত্রীকে পুলিশি হেফাজতে নেন।
ছবি: সংগৃহীত । লেখা: ফারুক আহমেদ।